এবার মরণ কামড় দিবেন ইলিয়াস কাঞ্চন
আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে চলছে নানা মিটিং, মিছিল ও বাদ্য বাজনার আয়োজন। চলছে চলচিত্রকে নিয়ে নিজেদের স্বপ্ন পূরণের প্রতিশ্রুতি।
এবার ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ ও মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে শিল্পীরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচনের প্রচারণা করছেন যার যার মত করে ।
প্রতিটি প্যানেল সদস্য নিজেদের মতো করে, তাদের প্ল্যান নিয়ে এগুচ্ছেন। চেষ্টা চালাচ্ছেন অন্যদের নিজেদের দলে ভেড়াতে।
নির্বাচনকে ঘিরে সমসাময়িক অভিনেতা ও প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘যাদের সঙ্গে আমি অনেক হিট সিনেমা করেছি তারা কিন্তু কেউই আর নেই। কন্টিনিউ করতে পারনেনি’।
সিনেমা তৈরি ও তার ভবিষ্যত নিয়ে বলেন, ‘আমি নিজেও প্রযোজনা করেছি। হিট সিনেমাও দিয়েছি। আমিও কিন্তু প্রযোজক হিসেবে আর কাজ করার সাহস পাচ্ছি না। কারণ সিনেমার অবস্থা। পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছি।’
সিনেমা নিয়ে আশংকা ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, ‘এখন আর সেই সাহসও পাই না। ভাবি যে কার টাকাটা এনে নষ্ট করবো! হয়তো আমি অনুরোধ করলে অনেকে টাকা লগ্নি করবেন। কিন্তু তাতে লাভ কি। দর্শক তো দেখবে না বা দেখতে পারবে না। সিনেমা অনেক কারণেই নষ্ট হয়েছে। এর প্রথম কারণ ছিল পাইরেসি। এরপর আসে অশ্লীলতা, কাটপিসের যুগ।’
সিনেমা জীবনের কষ্ট উল্লেখ করে বলেন, ‘এরপর শুরু হয় অভিভাবকহীন, নেতৃত্বহীন ইন্ডাস্ট্রির পথচলা। কষ্ট হয় এসব দেখে। ভেবেছিলাম এদিকে আর ফিরবো না।’
তিনি নির্বাচনে কেন এলেন তা উল্লেখ করে বলেন, ‘কিন্তু সিনিয়র, জুনিয়র সবাই মিলে ধরলেন যে আপনি আসুন। আপনাকে দরকার। আমি এলাম। চেষ্টা করে দেখি। এবারের চেষ্টা হবে মরণ কামড় দেয়ার মতো।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বদিউল আলম খোকন, ডি এ তায়েব, গাঙ্গুয়া, শাহনূর ও হল মালিকরা। সবাই সিনেমার উন্নয়নের স্বার্থে নানা বিষয়ে আলোকপাত করেন।
বিনোদনের অন্যান্য খবর দেখুন এখানে