বদমেজাজি শিক্ষা কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

তিতাস প্রতিনিধি.

0 30

কুমিল্লা তিতাস উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা পারভীন বানুকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ প্রায় ৪০০ জন। বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত উপজেলার প্রবেশ পথে এই মানববন্ধন করা হয়।

বক্তব্যকালে বক্তারা বলেন, তাদের ২০ থেকে ২৫ বছরের শিক্ষকতার জীবনে এধরণের বদমেজাজি শিক্ষা অফিসার কখনো পায়নি। শিক্ষা অফিসার লায়লা পারভীন বানু শিক্ষার্থীদের সামনেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে অসদাচরণ ও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে থাকেন।

এই অফিসার এখানে থাকলে শিক্ষার মান দিন দিন ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে। কারণ এই অসদাচরণের কারনে শিক্ষকদের মন মরা হয়ে থাকতে হবে।

সুতরাং শিক্ষকরাই যদি ভালো থাকতে না পারে তাহলে শিক্ষার্থীদের কি ভাবে ভালো রাখবে আর ভালো পড়াবে। পড়াশোনার মানোন্নয়ন করতে হলে দ্রুত তাহাকে অপসারণ করতে হবে বলে শিক্ষকরা দাবী জানান।

পরে গত ৩০ই অক্টোবর ২০২২ তারিখে শিক্ষকরা বিভিন্ন দপ্তরের এই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম- দুর্নীতি ও শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণসহ নানা উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে শিক্ষকদের লিখিতভাবে গণ শুনানি নেন তদন্তে আসা গবেষণা কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া।

গণশুনানির আগে তিনি উপস্থিত অভিযোগকারী শিক্ষকদের সপথ বাক্য পাঠ করান সত্য বলার জন্য। এতে ৭৯ জন শিক্ষিক-শিক্ষিকা লিখিত শুনানি পেশ করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া বলেন, আমি তদন্তে এসে অভিযোগকারী শিক্ষকদের লিখিত বক্তব্য নিয়েছি, আমরা অভিযোগ গুলো যাচাই-বাছাই করে আমাদের উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানাবো। পরে ওনারা সিদ্ধান্ত দিবেন।

এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা পারভীন ভানু বলেন, আমি আসার আগে শিক্ষকরা নিয়মিত স্কুলে থাকতেন না এবং বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ গুলোও সঠিকভাবে করতেন না।

আমি তিতাসে যোগদানের পর থেকে এসব বিষয়ে কোনো প্রকার সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় আমার বিরুদ্ধে শিক্ষক নেতারা মিথ্যাচার করছে।

মন্তব্য করুন।

আপনার মেইল প্রকাশিত হবে না।