অবশেষে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন পূরণ হতে চলছে বৃষ্টির

অনলাইন ডেস্ক

0 72

মানুষের অদম্য ইচ্ছাকে কেউ রুখতে পারে না। প্রয়োজন শুধু সঠিক উপায়ে কাজ করে যাওয়া। এমন ঘটনা ঘটেছে বৃষ্টির বেলায়ও। ভূমিহীন দিনমজুরের মেয়ের অবশেষে উচ্চ শিক্ষার আশা পুরণ হতে চলছে। বৃষ্টি খাতুনের উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন অবশেষে পূরণ হচ্ছে। কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা হয়ে গেছে দুঃস্থ ও মেধাবী এই শিক্ষার্থীর।

সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ গ্রামের ভূমিহীন দিনমজুর আইয়ুব আলীর মেয়ে বৃষ্টি। এবছর সে সলপ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৫ পেয়েছে। সাধারণ ভাষায় যাকে গোল্ডেন জিপিএ বলা হয়।

বৃষ্টি পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষাতেও গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছিল এবং বৃত্তি লাভ করেছিলো। কিন্তু ভালো ফলাফল করার পরও শুধু অর্থ সংকট তার কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত করে দিয়েছিল।

বৃষ্টির পড়ালেখা সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি দৈনিকে সংবাদ ছাপা হয়। যার ফলে কয়েকজন সহৃদয়বান ব্যক্তির নজরে আসে। সে ব্যক্তিগণ বৃষ্টির পড়ালেখায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

বৃষ্টির লেখাপড়ার জন্য উল্লাপাড়ার সলপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শওকাত ওসমান বৃষ্টির কলেজে ভর্তির জন্য ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। তিনি শুধু নগদ দশ হাজার টাকাই নয়, তিনি বৃষ্টির বাড়িতে গিয়ে তার উচ্চ শিক্ষার খরচ বহনেরও ঘোষণা দিয়েছেন।

অন্যদিকে সংবাদ প্রকাশের পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী প্রাথমিকভাবে বৃষ্টির বই কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।

গোলাম রাব্বানী বৃষ্টির পড়ালেখায় আরও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। অন্যদের মধ্যে আরও আশ্বাস দিয়েছেন উল্লাপাড়া পৌর মেয়র এসএম নজরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আব্দুর রহমান, ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেন বিলুসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই।

সহযোগিতার বিষয়ে বৃষ্টির সাথে কথা বললে তিনি জানান, সহৃদয়বান ব্যক্তিগণের সহযোগিতায় তার কলেজে ভর্তি এখন নিশ্চিত হয়েছে। সেই সাথে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন পূরণ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তার।

বৃষ্টির চোখে মুখে এখন আনন্দের আভা। যেসকল ব্যক্তি তাকে সহযোগিতা দিচ্ছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি ভবিষ্যতে ডাক্তার হবার স্বপ্ন লালন করেন। সে লক্ষ্য নিয়েই পড়াশুনাকে গুছিয়ে নিচ্ছেন তিনি।

মন্তব্য করুন।

আপনার মেইল প্রকাশিত হবে না।