উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু হত্যা মামলার ১৪ আসামী কারাগারে

বড়াইগ্রাম (নাটোর) সংবাদদাতা

0 131

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা সানাউল্লাহ নুর বাবু হত্যা মামলার চার্জশীটভূক্ত ১৪ জন আসামীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে বড়াইগ্রাম আমলী আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসান জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অ্যাডভোকেট আরিফ উদ্দিন সরকার ও অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান।

জানা যায়, গত ২৪ জুন দীর্ঘ ১১ বছর পর বনপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি এবং বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ নূর বাবু হত্যা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশীট) জমা দেয় নাটোরের সিআইডি।

নাটোরের বড়াইগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি’র সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোহম্মদ আব্দুল হাই সরকার বনপাড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র এবং আওয়ামী লীগ নেতা কেএম জাকির হোসেনসহ ৪৪ জনকে অভিযুক্ত করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানযীম আলম তাবাসসুমের আদালতে অভিযোগপত্রটি জমা দেন।

আসামীদের মধ্যে একজন মারা যাওয়ায় চার্জশীটে তাকে বাদ দেয়া হয়। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার চার্জশীটভূক্ত ১৪ জন আসামী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক মেহেদী হাসান তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

কারাগারে পাঠানো আসামীরা হলেন- জাবের সোনার, ইদ্রিস মোল্লা, জিন্নাহ মোল্লা, জিল্লুর রহমান মোল্লা, মো. আওয়াল, আজগর আলী সোনার, কোরবান মোল্লা, আব্দুর রাজ্জাক কবিরাজ, ওয়াজেদ আলী সোনার, মাসুদ রানা, প্রশান্ত কুমার, আব্দুল আজিজ, মনির হোসেন এবং মোঃ শাহজালাল।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের আট অক্টোবর কেন্দ্রঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসাবে বনপাড়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিলে সন্ত্রাসী হামলায় সানাউল্লাহ নুর বাবু মারা যান। পরদিন বাবুর স্ত্রী মহুয়া নুর কচি বাদী হয়ে থানায় প্রথমে বর্তমান বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেনকে প্রধান আসামী করে সাতাশ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের মাধ্যমে সংযোজনের আদেশ নিয়ে আরো ১৮ জন মিলিয়ে মামলায় সর্বমোট ৪৫ জনকে আসামী করা হয়।

আরও পড়ুন-

কুরুচিপূর্ণ ভাষার প্রতিউত্তর আমার জানা ছিল না: মাহিয়া মাহি

ডা: মুরাদ হাসান সমাচার: তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশ

কুরুচিপূর্ণ ভাষার প্রতিউত্তর আমার জানা ছিল না: মাহিয়া মাহি

মন্তব্য করুন।

আপনার মেইল প্রকাশিত হবে না।