চাকরি দিলেই স্কুলের রাস্তার জন্য জমি দেবেন বাবুল হোসেন

0 93

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার কান্দুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের কোনো রাস্তা নেই। ফলে স্থানীয়দের বাড়ির আঙিনা ও পুকুরের পাড় দিয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাতী বালা রক্ষিত বলেন, পাশে জমি না থাকায় আমাদের বিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট কোনো রাস্তা নেই। ফলে রাস্তা সংকটে নির্মাণ সামগ্রী আনতে না পারায় বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত ওয়াশবক্ল প্রকল্পের কাজও ঝুলে আছে। এ অবস্থায় বিদ্যালয়ের রাস্তার জন্য স্থানীয় মো. বাবুল হোসেনের কাছে জায়গা চাওয়া হয়েছে। তবে এর বিনিময়ে তিনি পরিবারের যে কাউকে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে বাবুল হোসেন বলেন, এ বিদ্যালয়ের জন্য আমরা অনেক কিছু করেছি। এখনও রাস্তার জন্য জমি দিতে আপত্তি নেই। তবে এর বিনিময়ে আমাদের পরিবারের যে কাউকে যোগ্যতা অনুযায়ী একটা চাকরি দেওয়া হোক।

সূত্র জানায়, উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের কান্দুলিয়া গ্রামে ১৯৭৩ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ২০১৩ সালে জাতীয়করণ হয় বিদ্যালয়টি। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৪৩ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান, প্রতিষ্ঠার সময়ে স্থানীয় চারজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি বিদ্যালয়ের জন্য জমি কিনে দেন। কিন্তু পরে বিদ্যালয়ে যাতায়তের জন্য আশপাশের বাসিন্দারা জায়গা না দেওয়ায় কোনো রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি।

সম্প্রতি বিদ্যালয়ের জন্য ওয়াশবক্ল প্রকল্প বরাদ্দ হয়। কিন্তু রাস্তা না থাকায় ওই প্রকল্পের কাজের জন্য নির্মাণ সামগ্রী বিদ্যালয়ে আনা যাচ্ছে না। ফলে ঝুলে আছে এ উন্নয়ন প্রকল্পটি।

স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের নিকটবর্তী সড়কের পাশেই বাবুল হোসেনের প্রায় সাত কাঠা জমি রয়েছে। এর এক অংশে পুকুর এবং অপর অংশে কৃষি জমি। এর মধ্যে বিদ্যালয়টির অবস্থান পুকুরের পশ্চিম পাড়ে। ফলে মূল সড়ক থেকে বিদ্যালয়ে যেতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বাড়ির আঙিনা কিংবা পুকুরের পাড় ব্যবহার করতে হয়। শুকনো মৌসুমে যাতায়াতে কষ্ট না হলেও বর্ষাকালে পুকুরের পানি বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়তে হয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জনি জানান, ওই বিদ্যালয়ের রাস্তা নির্মাণের জন্য গত বছর উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু জমির মালিক বাধা দেওয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্ত পেয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন।

আপনার মেইল প্রকাশিত হবে না।