বড়াইগ্রামে বিএডিসি’র খাল সেঁচে অবৈধভাবে মাছ শিকার বিপাকে মৎস্যজীবি ও কৃষকরা

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি

0 19

বড়াইগ্রামের সরিষাহাটে বিএডিসির খনন করা খালে সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে সব পানি সেঁচে ফেলে দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করছেন প্রভাবশালীরা।

এতে খালের সব পানি সেঁচে ফেলায় আবাদি জমিতে সেচ দেয়া নিয়ে বিপাকে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয় চাষীরা। অপরদিকে, খালে মাছ ধরতে না পেরে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় মৎস্যজীবিরা।

এ অবস্থায় বিপুল অঙ্কের টাকা খরচ করে খালটি পুনঃখননের প্রকৃত উদ্দেশ্য ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

জানা যায়, উপজেলার সরিষাহাট সিঙ্গার বিলের মাঝখান দিয়ে দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ একটি খাল রয়েছে। ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) উদ্যোগে ভূ-উপরিস্থ পানির মাধ্যমে সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় খালটি পুনঃখনন করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ঈমান আলী ও হুজুর আলী বাঁশ ও পলিথিন দিয়ে বাঁধ দিয়ে সাতটি স্যালো মেশিন বসিয়ে সব পানি খালের তীরে সেঁচে ফেলে দিচ্ছেন।

এভাবে খালের পানি সেঁেচ মা মাছসহ সব মাছ মেরে নিচ্ছেন তারা। এর আগে তারা সপ্তাহ খানেক ধরে প্রথমে জাল দিয়ে বড় বড় মাছ ধরে বিক্রি করেছেন বলে জানান স্থানীয়রা। এভাবে সেচ যন্ত্র দিয়ে পানি সরিয়ে ফেলার কারণে বর্তমানে খালে পানি না থাকায় চলতি শুকনো মৌসুমে জমিতে সেঁচ দিতে না পারার আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা।

সরিষাহাটের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে শুকনো মৌসুমে ভূ-গর্ভস্থ পানি কম উঠায় খালের পানিই ছিলো জমিতে সেঁচ দেয়ার একমাত্র ভরসা।

কিন্তু কয়েকজন অর্থলোভী ব্যক্তি গায়ের জোরে খালের পানি সেঁচে মাছ ধরায় জমিতে সেঁচ দেয়া নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছি। অপর কৃষক আতাহার আলী জানান, খালে মৎস্যজীবিতো দুরের কথা, কেউ বরশী দিয়ে মাছ ধরতে আসলেও এরা তাড়িয়ে দেয়। মৎস্যজীবি সাবের হোসেন বলেন, তারা মৎস্যজীবিও না, আবার খাল লিজও নেয়নি-অথচ দেদারছে মাছ মেরে খাচ্ছে। অথচ আমরা খালে নামতে গেলেই তারা তেড়ে আসে।

এ ব্যাপারে ঈমান আলী বলেন, আমরা খাল পাহারা দিয়ে রাখছি, এখনতো আমরা মাছ ধরবোই। তবে সরকারী খালে কাউকে মাছ ধরতে না দিয়ে তারা পাহারা দেন কিভাবে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি।

ইউএনও মারিয়াম খাতুন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে এভাবে মাছ ধরতে নিষেধ করেছিলাম। তারপরও যদি একই কাজ করে তাহলে আমি যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

মন্তব্য করুন।

আপনার মেইল প্রকাশিত হবে না।