মমতা চান বিরোধী জোটে থাকুক কংগ্রেস, তবে নেতৃত্বে নয়

0 123

ভারতের প্রাচীন রাজনৈতিক দল কংগ্রেসকে মাটিতে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছেন পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূলের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী জোটে তিনি কংগ্রেসকে দেখতে চান না নেতৃত্বে।

বুধবার ভারতের মুম্বাইয়ে শারদ পাওয়ার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে এ বিষয়ে একমত হয়েছেন।

এ খবর জানিয়েছে ভারতী সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।

ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) একটি সূত্র জানায়, কংগ্রেস ছাড়া বিরোধী জোট হবে না। কিন্তু তাই বলে কংগ্রেসের নেতৃত্বেও বিরোধী জোট হবে না। কংগ্রেস বিরোধী জোটে থাকবে অন্য আঞ্চলিক দলের মতো।

মমতার সঙ্গে শারদের বৈঠক সম্পর্কে অবগত এক এনসিপি নেতা বলেন, পাওয়ার প্রথম থেকেই বলছেন— কংগ্রেসকে ছাড়া বিরোধী জোট সম্ভব নয়। উল্টো দিকে মমতা কংগ্রেসের সমলোচনা করে আঞ্চলিক দলগুলোর জোটের কথা বলছেন। একে দুজনের মধ্যে মতভেদ বলে মনে হলেও, আসলে দুজনের অবস্থান একই। তা হলো— কংগ্রেস জোটে থাকতে পারে। কিন্তু কংগ্রেসের হাতে নেতৃত্ব থাকবে না।

পাওয়ার বা মমতা কেউ এই কথাটি স্পষ্ট করে না বললেও, নির্বাচনের কৌশল নির্ধারক প্রশান্ত কিশোর তা খোলাসা করে দিয়েছেন।

কিশোরের টুইট, কংগ্রেস যে ভাবনা ও জায়গার প্রতিনিধিত্ব করে, তা মজবুত বিরোধী শিবিরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কংগ্রেসের নেতৃত্ব একজন ব্যক্তির ঈশ্বরপ্রদত্ত অধিকার নয়। বিশেষত ওই দল যখন গত ১০ বছরে ৯০ শতাংশ আসনেই হেরেছে। বিরোধী জোটের নেতৃত্ব গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ঠিক হোক।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, মহারাষ্ট্রে লোকসভা কেন্দ্র ৪৮টি। পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি আসন। এই ৯০টি আসনে ‘জোট বেঁধে’ তৃণমূল, শিবসেনা ও এনসিপি লড়বে।

ছত্তীশগড়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট, হরিয়ানার মতো রাজ্যের ১২০-১৪০টি আসনে কংগ্রেস সরাসরি বিজেপির সঙ্গে লড়াই করে কতগুলো আসন নিয়ে আসতে পারে, তা দেখা হবে। বাকি আঞ্চলিক দলগুলোর শক্তিও পরখ করা হবে। তার পরে কার কত সংখ্যা, কে বিরোধী জোটে চালিকাশক্তির কাজ করেছেন, তা নিয়ে আলোচনা হবে।

এনসিপির রাজ্যসভার সংসদ সদস্য মজিদ মেমনের মতে, মহারাষ্ট্র-পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে ৯০টি আসনে এনসিপি-তৃণমূলের যৌথ লড়াই বিরোধী জোটের মূল চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে।

মন্তব্য করুন।

আপনার মেইল প্রকাশিত হবে না।