শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির দাবি

0 300

শিক্ষকদের বেতন ভাতা বাড়নোর দাবিতে দেশজুড়ে সক্রিয় হচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকেরা। গ্রেড নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে মাঠে নেমে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকেরা।

বেতনভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষকেরা উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের কর্মকর্তাদের অধীনে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিতেও আপত্তি জানিয়েছেন এসব শিক্ষকেরা।

একই সাথে সহকারি শিক্ষকদের দশম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকের নবম গ্রেড  দেওয়ার  দাবি জানানো হয়েছে।

শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন,  প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রধান দাবি হলো বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়ে দশম গ্রেড এবং প্রধান শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়ে নবম গ্রেড করতে হবে।

সূত্র বলছে, বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১১ তম এবং সহকারী শিক্ষকদের ১৩ তম গ্রেডে বেতনভাতা দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, সম্প্রতি উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে (ইউআরসি) কর্মরত ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের ‘সহকারী ইনস্ট্রাক্টর’ পদে চলতি দায়িত্ব দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা এই প্রস্তাব অবিলম্বে বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি।

এ ছাড়া অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের মতো ছুটি রেখে প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি ‘নন-ভোকেশনাল’ হিসেবে গণ্য করা, দ্রুত সময়ের মধ্যে সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি ও চলতি দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রধান শিক্ষক পদে পদায়ন এবং বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সাথে সমন্বয় রেখে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অবিলম্বে নবম পে-স্কেল ঘোষণা করারও দাবি জানাচ্ছি।

শিক্ষক নেতৃবৃন্দ জানান, সরাসরি নিয়োগপ্রাপ্ত, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তবিহীন বৈষম্য বাতিল, প্রধান শিক্ষকদের টাইমস্কেল জটিলতা নিরসন, পদোন্নতিতে জটিলতা কমানোর দাবিতে আগামী ১৮ মে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়া হবে। এর মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে পর্যায়ক্রমে পরবর্তী কর্মসূচি দেয়া হবে।

মন্তব্য করুন।

আপনার মেইল প্রকাশিত হবে না।