স্কুল কবে খুলবে: যে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে

স্কুল কবে খুলবে: যে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে - তাতে স্বাস্থ্যবিধি কতটা রক্ষা হবে, অভিভাবকেরা কতটা আশ্বস্ত

0 137

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে গত কিছুদিন ধরেই করোনা সংক্রমণের হার বেশ কমে এসেছে এবং ধারাবাহিক ভাবেই এ হার নিম্নমুখী থাকার পাশাপাশি, ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরুর প্রেক্ষাপটে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৪ঠা ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্কুলগুলোকে এজন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে। তবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে এখন দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শুরুতে ক্লাসে ফিরিয়ে নেয়ার কথা বলছে কর্তৃপক্ষ।

আর স্কুল খুলে দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হলে অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে এক বা দুদিন স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে যে বাংলাদেশের বাস্তবতায় দেশজুড়ে অসংখ্য স্কুল কলেজে স্বাস্থ্যবিধি আদৌ নিশ্চিত করা যাবে কি-না।

নেত্রকোনার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাহমিনা খান বলছেন সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী স্কুলকে প্রস্তুত করতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতিই তারা নিচ্ছেন।

“পুরো বিদ্যালয়ই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করছি। শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চ থেকে শুরু করে বাগান, টয়লেটসহ সব কিছু ক্লিন করা হচ্ছে। প্রতি শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে দুটি করে মাস্ক দেয়া হবে। আর ইনফ্রারেড থার্মোমিটার সেট করবো। আর প্রতিদিন একটি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আসবে। তাদের বিভিন্ন রুমে বসিয়ে আমরা ক্লাস নেবো”।

সরকারিভাবে স্কুলগুলোতে যে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে তাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থানের সময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী কিংবা কর্মকর্তা, কর্মচারী সবাইকে সবসময় মাস্ক পরতে হবে।

শিক্ষার্থীদের তিন ফুট শারীরিক দূরত্বে রাখা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করার কথা আছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে ইউনিসেফের সহযোগিতা প্রায় ৩৯ পাতার একটি গাইডলাইন তৈরি করে ইতোমধ্যেই স্কুলগুলোতে পাঠানো হয়েছে।

কিন্তু বাস্তবতা হলো সরকার সর্বত্র মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করলেও রাজধানী ঢাকাতেই তা কার্যকর করা যায়নি।

এমনকি ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়েও মানুষের মাস্ক পরা নিশ্চিত করা সম্ভব যেখানে হয়নি, সেখানে স্কুলের শিশুদের সার্বক্ষণিক মাস্ক পরিয়ে নির্ধারিত দূরত্বে রাখা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের অনেকেই।

ঢাকার একজন অভিভাবক রুমানা সোবহান পরাগ বলছেন শিশুদের ক্লাস মে নিয়ে এগুলো নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না বলেই মনে করেন তিনি।

“এটা পুরোপুরি অসম্ভব। এতটুকু বাচ্চাকে বলবো যে তুমি দূরে দূরে থাকবা। ও তো গিয়েই অন্য বাচ্চাদের গলা ধরে দাঁড়াবে, খেলাধুলা করবে, হুড়মুড় করে একজন আরেকজনের গায়ে পড়বে। এটা কি সম্ভব যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এগুলো করবে? এটা হঠকারী ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। প্রয়োজন হলে জুলাইয়ের পর পরিস্থিতি দেখে স্কুল খুলতে পারে। আমি অন্তত আমার বাচ্চাকে ছাড়বো না এখন”।

তবে স্কুলগুলো বলছে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। প্রধান শিক্ষক তাহমিনা খানও জানিয়েছেন যে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সব স্কুলেই একই ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

স্কুল কবে খুলবে ২০২১:

গুগলে বাংলাদেশ থেকে গত এক সপ্তাহ ধরে অনেকেই এখন সার্চ করছেন, “স্কুল কবে খুলবে ২০২১” – এই শব্দবন্ধ দিয়ে। এই সার্চ ট্রেন্ডই বলে দেয় বাংলাদেশে মানুষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া নিয়ে কতটা চিন্তিত। কারো চিন্তার বিষয়, খোলে না কেন? কারো চিন্তা, কেন খুলছে?

বাংলাদেশে কার্যত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কিছুই বন্ধ নেই। ফলে স্কুল কলেজ খুলে দেয়ার দাবিও উঠছিলো বিভিন্ন মহল থেকে। অনেকেই মনে করেন প্রায় এক বছর ধরে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে শিক্ষার্থীদের, তা থেকে দ্রুত উত্তরণের জন্যই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া দরকার।

যদিও সরকারের তরফ থেকে বারবারই বলা হয়েছে যে বিষয়টি নিয়ে কোনো ধরণের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেয়ার পক্ষপাতী তারা নন।

তবে ইতোমধ্যেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির পর সরকারের উচ্চ মহলের অনুমোদন পেলে ফেব্রুয়ারিতেই স্কুল খুলে দেয়া হতে পারে।

ঢাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সিনথিয়া রহমান বলছেন এখন আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার যুক্তি নেই। তিনি বলছেন স্কুল খুললে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি তারাও শিক্ষক হিসেবে বেশি সতর্ক থাকবেন।

“বাচ্চারা তো প্রায় এক বছর পড়ালেখা থেকে দূরে। যদিও অনলাইনে পড়ালেখা করানো হয়েছে কিন্তু সেটি স্কুলের মতো করে হয়নি। বাসায় পড়ে পড়ালেখা ওরকম হয়না। যেহেতু আসতেই হবে স্কুলে, আমরা শিক্ষকরাও চেষ্টা করবো বাচ্চাদের বোঝানোর। একটি ক্লাসে ৫০জন যদি শিক্ষার্থী থাকে তারা একদিনে না এসে ২৫ করে আসলে বা শিফটিং করা যায় কিনা সেটিই ভাবা হচ্ছে। শিক্ষক হিসেবেও ক্লাসে শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব আমরা ভাগ করে নিবো”।

বাংলাদেশে গত বছরের মার্চে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পর জুলাই থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অনলাইনে শিক্ষাদানের উদ্যোগ নেয়।

সরকারিভাবেও টেলিভিশন এবং ফেসবুক ও ইউটিউবের মাধ্যমে শিক্ষকরা শিক্ষাদান করলেও তা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পর্যাপ্ত ইলেকট্রনিক ডিভাইস না থাকাসহ নানা কারণে।

ফলে অনেক ক্ষেত্রেই অটো প্রমোশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এখন কর্তৃপক্ষ বলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা বিবেচনা করেই আনন্দঘন পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে এবং প্রথম দু মাস কোন আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা হবে না।

বড় চ্যালেঞ্জ

দেশের নানা জায়গায় স্বল্প পরিসরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে প্রতিটি ক্লাসে গড়ে ৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী উপস্থিতি থাকতো স্বাভাবিক সময়ে। এসব জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো সম্ভব তা নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ আছে।

শিক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান বলছেন পুরো বিষয়টিই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেন তিনি।

“এখন যে স্বাস্থ্যবিধির কথা বলা হচ্ছে সেখানে একই শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দু ভাগ করা যেতে পারে। এর বেশি ভাগ করলে শিক্ষকদের ওপর চাপ পড়বে। এর বেশি ম্যানেজ করা যাবে না। কারণ যিনি বাংলা পড়াবেন তাকে দুবার ক্লাস নিতে হবে। এখন যদি শিফট ৩/৪টি হয় তাহলে তাকে একই ক্লাস চারবার নিতে হবে যা অত্যন্ত কঠিন। কারণ তার আরও ক্লাস আছে। আবার নতুন শিক্ষক নেয়াও কঠিন। তাই এখন যা করা যাবে তাহলো দু ভাগ করে ক্লাসে দূরত্ব বজায় রেখে বসা। এতটা পর্যন্ত সহনীয় হবে”।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর অবশ্য বলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কার্যক্রমে যাতে স্বাস্থ্যবিধি প্রয়োগ হয় সেটি নিশ্চিত করতে পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে।

এজন্য স্কুল খোলার আগেই শিক্ষার্থীদের সাথে তাদের শিক্ষকরা যোগাযোগ করবেন। পাশাপাশি শিক্ষক শিক্ষার্থী অনুপাত অনুযায়ী কোন শ্রেণি দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে, কোন শিক্ষক কোন বিষয় নেবেন, কত শিফট হবে কিংবা কোন বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে তা নিয়ে পরিকল্পনার কাজ চলছে।

অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ শাহেদুল খবির চৌধুরী অবশ্য বলছেন সামনে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্লাসরুমে ফিরিয়ে আনাই তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য।

“স্কুল পর্যায়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা আমাদের প্রথম টার্গেট। এক বছর ধরে তারা স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিচ্ছিন্ন। তেমনি কলেজ পর্যায়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। এদের বিবেচনায় নিয়ে যদি দেখা যায় কার্যক্রম সফল হচ্ছে তখন পর্যায়ক্রমে অন্য শ্রেণির কার্যক্রম শুরু হবে। একসাথে সব শ্রেণির কার্যক্রম সম্ভব নয় এটি আমরা বুঝি আবার মাঠ পর্যায় থেকে কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকরাও একই মত দিয়েছেন”।

তবে এভাবে স্বল্প পরিসরে পড়ানোর জন্য সিলেবাসেও পরিবর্তন আনতে হবে, অর্থাৎ স্বাভাবিক সময়ে একজন শিক্ষার্থী তার ক্লাসে যেটুকু পড়ে থাকে বর্তমান পরিস্থিতিতে তার পুরোটা না পড়িয়ে জরুরি বিষয়গুলোই তাকে পড়ানো হবে।

ইতোমধ্যেই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করার কাজে হাত দিয়েছে।

শিক্ষা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান বলছেন সিলেবাস নিয়েও একটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা।

“সিলেবাস সংক্ষেপ করা কতটা যাবে তা নিয়ে সংশয় আছে। তবে এর চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ধরুন গতবার যে ক্লাস সিক্সে ছিলো তাকে অটোপ্রমোশন দেয়া হলো। এখন সেভেনে শিক্ষক আজকের নির্ধারিত পাঠ দেয়ার আগে দেখতে হবে এ পাঠের জন্য তার যে পূর্বদক্ষতা দরকার সেটি আছে কি না। না থাকলে সেটি দিয়ে নতুন পাঠ দিতে হবে। এতে শিক্ষকের ওপর চাপ পড়বে ও বেশি সময় লাগবে। আবার এটি না হলে শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়বে, মুখস্থ করবে কিংবা পরীক্ষায় ফেল করবে”।

অভিভাবক রুমানা সোবহান পরাগ অবশ্য বলছেন সিলেবাস শেষ করার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে শিশুদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা এবং শিশুরা যেন ভাইরাসের ক্যারিয়ার না হয়ে ওঠে সেটি নিশ্চিত করা।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা অবশ্য বলছেন সিলেবাস সংক্ষিপ্তকরণ নিয়ে কাজ চলছে এসব দিক মাথায় রেখেই। তবে এখন বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।

“এসএসসির ক্ষেত্রে ৬০টি শ্রেণি দিবসকে টার্গেট করে এবং এইচএসসির ক্ষেত্রে ৮৪টি শ্রেণীদিবসকে টার্গেট করে সিলেবাস কাস্টমাইজড করার নির্দেশনা আছে। আমরা এখন সেটি নিয়ে কাজ করছি।আশা করি ফেব্রুয়ারির চার তারিখের মধ্যেই আমরা বোর্ডকে সেটি সরবরাহ করতে পারবো”।

তিনি বলেন পরবর্তীতে অন্য শ্রেণির জন্য সিলেবাস নিয়ে কাজ করবেন তারা। বিশেষ করে গত বছরের ঘাটতি কিভাবে আগামী দিনগুলোতে কাটাতে হবে সে নির্দেশনাও শিক্ষকদের দেয়া হবে।

“শিখন ঘাটতি তো আর এক বছরে পূরণ হয়ে যাবে না। প্রথম থেকে নবম পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পূরণে একটা গাইডলাইন দেয়া হবে যাতে পূর্ববর্তী ক্লাসের ঘাটতি যাতে ধীরে ধীরে মেটানো যায়”।

যদিও শিক্ষা বিশেষজ্ঞ, শিক্ষক ও অভিভাবকদের অনেকেই মনে করেন স্কুল প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার মতোই এক বছরের শিখন ঘাটতি পূরণ করাও খুব একটা সহজ হবে না। তবে এর মধ্যে স্কুল কলেজের মতো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনার চিন্তা শুরু হয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যেই জানিয়েছে মার্চে পরীক্ষার মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া শুরুর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন তারা।

ফলে শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন এমন ব্যক্তিরা আশা করছেন যে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সব পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।

মন্তব্য করুন।

আপনার মেইল প্রকাশিত হবে না।