শেয়ালের কামড়ে শিক্ষার্থীসহ আহত দুই: আতঙ্কে গ্রামবাসী

0 52

শেয়ালের তান্ডবে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। অশ্বস্থিতে ভুগছেন  তারা। চিন্তিত হয়ে পড়ছেন শিশু এবং গবাদী পশু নিয়ে।

গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে শিয়ালের কামড়ে প্রান্ত (১২) নামের এক শিক্ষার্থী ও সায়দার রহমান (লল্টু) (৪৯) নামে এক কৃষক গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়েছেন।

এছাড়াও ওই এলাকায় অন্তত ৫ টি গরুকে কামড় দিয়েছে শেয়ালটি। শেয়ালের আতঙ্ক বিরাজ করছে গ্রামটিতে। শিশু ও গৃহপালিত পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছে এলাকার লোকজন।

ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা জেলাধীন পলাশবাড়ী উপজেলার ৮ নং মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ী গ্রামের ফকিরপাড়া এলাকায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার(১৩ জানুয়ারি, ২০২২ খ্রি.) বিকালে অসুস্থ অবস্থায় শিক্ষার্থীকে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকালএগারোটার দিকে পলাশবাড়ি উপজেলায় করোনা ভাইরাসের টিকা দিতে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।

আহত প্রান্ত খন্দকার কুমারগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। অন্যদিকে আহত কৃষক সাইদুর রহমান একই গ্রামের মৃত ফজল হকের ছেলে।

আহত সাইদুর রহমান বলেন, গতকাল বিকালে তাকিয়ে দেখি বাড়ির পাশে একটি গরুকে শেয়াল কামড়াচ্ছে। এটি দেখার পর তিনি গরুকে বাঁচাতে গেলে শেয়ালটি তার হাতে কামড় দেয়।

এ সময় আশেপাশে লোকজন জড়ো হলে শেয়ালটি ভয়ে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। তবে তিনি জলাতঙ্ক (ভ্যাকসিন) দিবেন না।

উৎসুক জনতার কাছ থেকে জানা যায়, ওই দিন সকালের দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে করোনার টিকা নিতে শিক্ষার্থী প্রান্ত তার ভাইয়ের সঙ্গে পলাশবাড়ি উপজেলায় যাচ্ছিল।

এসময় পথে বাঁশঝাড়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় সে পেছনে পরে একা হয়ে যায়। ওই সময় তাকে একা পেয়ে পেছন থেকে আক্রমন চালায় একটি শিয়াল।

প্রান্ত আরও জানায়, শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে ফেলে শিয়ালটি। এ সময় তার চিৎকারে আশেপাশে লোকজন লাঠি নিয়ে এগিয়ে আসলে শিয়ালটি পালিয়ে যায়। পরে ঐ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা: কানিস ফাতেমা গণাোধ্যমকে জানান, গুরুতর ওই শিক্ষার্থীকে শুরুতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

তার ঠোঁট,হাত ,মুখ ও দু’পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত স্থান পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। আপাদত সে আশংকা মুক্ত রয়েছে।

এলাকাবাসী শিয়ালের অত্যাচার থেকে এখন নিরাপদ থাকার উপায় বের করছে। আপাতত তারা পশু এবং শিশুদের নিরাপত্তায় জোর দিচ্ছেন।

মন্তব্য করুন।

আপনার মেইল প্রকাশিত হবে না।