অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক; অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও প্রকাশ
তিতাস প্রতিনিধি:
মুন্নি আক্তার তিন সন্তানের জননী। ছেলে-মেয়ে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। স্বামী ঢাকায় দারোয়ানের চাকরি করেন । অভাব অনটনের সংসার। ভুক্তভোগির অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তার সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তুলেন আলম নামে এক সৌদি আরব প্রবাসী।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, প্রবাসী আলমের বাড়ি ও আমার বাড়ি একই গ্রামে। সে প্রবাসে থাকালীন তার স্ত্রীর আমার সাথে চলাফেরা করতো এবং আমার বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। আলম কুমিল্লা তিতাস উপজেলার আলীনগর গ্রামের মৃত কদম আলীর ছেলে।
একপর্যায়ে তার স্ত্রীর কাছ থেকে আমার মোবাইল নাম্বার নিয়ে আমার সাথে কথা বলতে শুরু করে। প্রথমে আমার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে প্রেমের সম্পর্ক করে মোবাইলের মাধ্যমে কৌশলে আমার অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও ধারণ করে।
পরে দেশে এসে এসব ছবি ও ভিডিও নেট দুনিয়া ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আলম আমার সাথে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে।
এরপর একদিন তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে অস্বীকৃতি জানালে তার মোবাইলে থাকা আমার অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও গ্রামের মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেয় এবং আমার বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে। আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে সর্বনাশ করেছেন। আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।
এবিষয়ে আলীনগর গ্রামের রাজ মিয়া, নবী হোসেন ও হান্নানসহ কয়েকজন বলেন, ভুক্তভোগী আমাদেরকে বিষয়টি জানালে আমরা গ্রামের পঞ্চায়েত বিচারে বসলে অভিযুক্ত আলম বিচারের আসেনি। তবে আলম খারাপ প্রকৃতির লোক, এর আগেও তার বিরুদ্ধে এই ধরনের কয়েকটি বিচার-সালিশ গ্রামবাসী করেছে।
এদিকে অভিযুক্ত আলমের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি এবং মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার স্ত্রী রাশিদা বলেন এবিষয়ে আমি আমার স্বামীর কাছে জানতে চাইলে সে আমাকে মারধর করে।