মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নববর্ষের শুভেচ্ছাপত্রে যা লিখেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন

অনলাইন ডেস্ক

0 72

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (সেক্রেটারি অব স্টেট) অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করার আহবান জানিয়ে এক পত্র পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

প্রেরিতপত্রে খ্রিস্টীয় ২০২২ নববর্ষ উপলক্ষে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ রোববার সংবাদমাধ্যমকে পত্র পেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

জানা গেছে, পত্রে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্ক শক্তিশালী করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ড. মোমেন। সন্ত্রাস, জঙ্গী, মাদকবিরোধী কর্মকান্ডে র‌্যাবের ভূমিকাও তুলে ধরেছেন তিনি। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভবিষ্যতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের আশাবাদ ব্যক্ত করার পাশাপাশি সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন ও মাদক বিরোধী কর্মকান্ডে র‌্যাবের ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে পত্রে।

গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাব ও সংস্থাটির সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর গত ১০ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা কর্মকর্তাদের মধ্যে র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ রয়েছেন। বেনজির আহমদ এখন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি)। বেনজীর আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর।

পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের নিষেধাজ্ঞার আওতায়ও পড়েছেন তিনি। এ ছাড়া র‌্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) তোফায়েল মোস্তাফা সরোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) মো. আনোয়ার লতিফ খানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পৃথক এক ঘোষণায় বেনজীর আহমেদ এবং র‌্যাব-৭-এর সাবেক অধিনায়ক মিফতাহ উদ্দীন আহমেদের ওপর সে দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ২০১৮ সালের মে মাসে কক্সবাজারের টেকনাফে পৌর কাউন্সিলর একরামুল হককে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনে সম্পৃক্ততার জন্য এ দুজনের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপে স্পষ্ট অসন্তোষ জানিয়েছে বাংলাদেশ। এ নিষেধাজ্ঞাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।

মন্তব্য করুন।

আপনার মেইল প্রকাশিত হবে না।