রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে হালিমনগর বধ্যভূমিতে মানববন্ধন

মো. আসির উদ্দীন, নওগাঁ, রাজশাহী।

0 154

মুক্তিযুদ্ধে ৩০ নভেম্বর শহিদদের স্মরণে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার হালিমনগর বধ্যভূমিতে পুস্পস্তবক অর্পন, মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সকালে শহিদ বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন শহিদ পরিবারের সন্তানসহ সব শ্রেণী পেশার মানুষ। বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনও দিনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। সকাল ১০টায় হালিমনগর বধ্যভূমিতে বধ্যভূমি সংরক্ষণ পরিষদের আয়োজিত কার্যক্রমে পুস্পস্তবক নিয়ে আসেন নিরমইল ইউনিয়ন পরিষদ, শিহাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি, পত্নীতলা শাখা, হাটশাওলী কানুপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, শিহাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমন্ত বহুমূখি উচ্চ বিদ্যালয়, বটতলী উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়।

আরও পুস্পস্তবক নিয়ে আসেন পত্নীতলা উপজেলার আন্তঃধর্মীয় নেতা ফোরাম, ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার পত্নীতলা উপজেলা ফোরাম, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যুবলীগ নিরমইল ও শিহাড়া ইউনিয়ন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ পত্নীতলা উপজেলা কমিটি।

পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে হালিমনগর বধ্যভূমি সংলগ্ন আলপাকা-হলাকান্দর সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণহত্যা হতে বেঁচে ফেরা আদিবাসি গুলু মুর্মুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পত্নীতলা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট অলোক চাঁদ বর্মন, আন্তঃধর্মীয় নেতা পত্নীতলা উপজেলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জীবন চক্রবর্তী, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নিরমইল ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব আলম, বটতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ, হাটশাওলী কানুপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেন্ডেন্ট মোখলেছুর রহমান।

এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন, শিহাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো. জসিম উদ্দিন, নিরমইল ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জয়নুর বেগম, সাদেকুল ইসলাম, মনোরঞ্জন বর্মন, আ. জলিল, মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন, ফরিদপুর নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল ওহাব, নিরমইল দারাজিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ আলী, আদিবাসি ফোরামের সভাপতি পরমেশ্বর, কুমার প্রসেঞ্জিৎ হেমব্রম, সুজনের শিহাড়া ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এমাজউদ্দিন, সভাপতি ডা. মোজাফ্ফল রহমান, নিরমইল ইউনিয়নের সভাপতি সাদেকল ইসলাম, পত্নীতলা উপজেলা ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মোস্তাকিম বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার শাকিল, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের এলাকা সমন্বয়কারী আসির উদ্দীনপ্রমূখ।

মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় বক্তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করতে সরকারের আন্তরিক সুদৃষ্টি কামনা করেন।

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও হালিমনগর বধ্যভূমি সংরক্ষণ না হওয়াই সবাই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা অনতিবিলম্বে ৩০ নভেম্বরের শহীদদের মর্যাদা প্রদান, বধ্যভূমি সংরক্ষণ এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের আবেদন জানান।

হালিমনগর বধ্যভূমি সংস্কার ও সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন
হালিমনগর বধ্যভূমি সংস্কার ও সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন

মোঃ শাহরিয়ার শাকিল লেখেন, নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার নিরমইল ইউনিয়নের হালিম নগর বধ্যভূমিতে ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করার জন্য পাকিস্তানি পাকহানাদার বাহিনী ৫০-৬০ জন কে দাঁড়িয়ে ফায়ার করে হত্যা করে। ২ – ৩ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও তারা আজ অঙ্গহীন।
আজ থেকে ৫০ বছর আগে এই হত্যা কান্ড ঘটলেও সেখানে শহিদ মিনার কিংবা স্বরণীয় কিছু স্থাপিত হয় নাই যা আজকের নতুন প্রজন্মের মনে নাড়া দিতে পারে।

মন্তব্য করুন।

আপনার মেইল প্রকাশিত হবে না।