শিক্ষক নিয়োগে নতুন যে যে নির্দেশনা এসেছে

0 823

 

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদে নির্বাচিত প্রার্থীদের নিয়োগে নতুন ৭টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীরা আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সকল শিক্ষা সনদের মূলকপি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের তিনটি ফটোকপি, পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম (যথাযথভাবে পূরণকৃত), সিভিল সার্জনের স্বাস্থ্যগত উপযপুক্ততার সনদসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে স্বশরীরে উপস্তিত হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

গত বুধবার প্রকাশিত প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফলে দেশের সর্বমোট ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন প্রার্থীকে শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার-২০২০ এর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) ফল প্রকাশ করা হয়।

প্রার্থীরা মোবাইল নম্বরে পরীক্ষার ফলের এসএমএস পাবেন। এছাড়া প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.mopme.gov.bd) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) রেজাল্ট দেখতে পারবেন প্রার্থীরা।

সূত্র বলছে, শূণ্য পদ যাচাই-বাছাই শেষে বিজ্ঞপ্তির অনুমোদিত পদের সাথে কয়েক হাজার পদ যুক্ত করে এই নিয়োগের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এরআগে দুই দফায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ পেছানো হয়। মূলত পদ সংখা বৃদ্ধির জন্যই ফল প্রকাশের তারিখ পেছানো হয়েছিল।

যদিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা ৩২ হাজার ৫৭৭টি পদে নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বৃহস্পতিবার মুক্ত প্রভাতকে জানান, ‘কি পরিমাণে সহকারী শিক্ষক পদ শূণ্য রয়েছে, এনিয়ে আমরা গবেষনা করছি। গবেষনার ভিত্তিতেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত পদের চেয়ে শিক্ষক পদ বাড়ানো হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র বলছে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সহকারী শিক্ষকের পদ বাড়িয়ে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা দেয়। পরে এই সংখ্যা কমিয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে ৩২ হাজার ৫৭৭টি পদে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এই সিদ্ধান্তের কারণে আবেদনকারীরা আন্দোলনে নামেন। এছাড়া আন্দোলনকারীরা দফায় দফায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও করে আন্দোলন চালিয়ে যায়।

তারই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে শূণ্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়। তারই ভিত্তিতে প্রাথমিকের সহাকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ না করে তারিখ পেছানো হয়।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, দেশে প্রায় ১২ হাজার সহকারী শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে। প্রতিদিনই এর সংখ্যা আরো বাড়ছে। বর্তমানে দেশজুড়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৬২০টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন মোট ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫ জন। এরমধ্যে পুরুষ শিক্ষক রয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৩০ এবং নারী শিক্ষক ২ লাখ ২৯ হাজার ৯৩৬ জন।

নিয়োগ বিধিতে যা আছে

প্রাথমিকের সহকারি শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ এর ৮ ধারার ২ নম্বর উপধারার (ঘ) তে বলা হয়েছে- ‘ নির্ধারিত কোটার শিক্ষকদের মধ্যে ক্যাটাগড়ি প্রতি (নারী ৬০ শতাংশ, পোষ্য ২০, ও অবশিষ্ট পুরুষ) অবশ্যই ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রীধারী প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে শর্ত থাকে যে , এভাবে ২০ শতাংম কোটা পূরণ না হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে।’

সূত্র বলছে, শিক্ষক নিয়োগে তিন ধাপে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা হলেও আজ একসাথেই ফল প্রকাশ করা হবে। পরীক্ষার প্রথম ধাপে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন।

এদিকে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবরে সহকারি শিক্ষকের ২ হাজার ৫৭৭টি শূণ্য পদে নিয়োগের জন্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এতে মোট আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী।

মন্তব্য করুন।

আপনার মেইল প্রকাশিত হবে না।