শিশুটিকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছেন এক শিক্ষিকা

0 20

অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকার নাম মুক্তা খানম তিনি বদলগাছী উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোল্লা মাধবপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত রয়েছেন।

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার গোল্লা মাধবপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুক্তা খানমের বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সামনে ডান হাতের কাঁধে বেধড়ক মারধরসহ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এতে ঐ শিক্ষার্থীর হাড় ফেঁটে গেছে। প্রভাবশালী একমহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১শে মে রবিবার দুপুর ১টায় বদলগাছীর গোল্লা মাধবপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে।

আহত জিনাত সুলতানা তুবা (১০) গোল্লা মাধবপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির নিয়মিত ছাত্রী ও বদলগাছী উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোল্লা গ্রামের মোঃ জালাল হোসেনের মেয়ে।

অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষকের নাম মুক্তা খানম তিনি বদলগাছী উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোল্লা মাধবপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী  শিক্ষক পদে কর্মরত রয়েছেন।

জানাযায়, গত ২১শে মে রবিবার গোল্লা মাধবপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ে গণিত পরীক্ষা হয় এতে তুবার পরীক্ষা খারাপ হয় তখন বিদ‍্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মুক্তা খানম ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্রী তুবাকে বেধড়ক মারধর করে এতে তুবার হাতের হাড় ফেটে যায়।

এ সময় জিনাত সুলতানা তুবার সহপাঠীরা জানান, জিনাত সুলতানা তুবাকে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মুক্তা খানম ‘ডাস্টার’ দিয়ে  ক্লাসে সবার সামনে অমানবিকভাবে মারধর করেছে। মারধরের সময় তুবা কান্নাকাটি করলেও ম্যাডামের মন গলেনি।

বিদ‍্যালয় সৃত্রে জানাযায়,এঘটনায় বিদ‍্যালয় কর্তপক্ষ ২হাজার টাকা চিকিৎসার জন‍্য তুবার পরিবারকে দিয়েছে।

সরেজমিনে, ৩রা জুন বৃহস্পতিবার বদলগাছীর গোল্লা মাধবপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ঐ ছাত্রী স্কুলে অনুপস্থিত। বিষয়টি স্কুলের সহকারী শিক্ষকদের নিকট জানতে চাইলে তিনারা বলেন, আপনাকে কে পাঠাইছে, কোন অফিস পাঠাইছে। ছাত্রীকে মারধর করার কথা জানতে চাইলে বলেন, তেমন কিছুই হয় নি।

সে দিন ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষকা অনুপস্থিত ছিলেন। আর এক সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম এসে সাংবাদিক আসার বিষয়টি একই গ্রামের ব‍্যবসায়ী খোরশেদ কে জানান। তিনি বলেন আমার গ্রামের ব‍্যপার এটা আমরা সমাধান করবো।

এ ব‍্যপারে জিনাত সুলতানা তুবার পিতা জালাল হোসেন জানায়, ঐ দিন রাত ৯টার দিকে ঘুমাতে গেলে শরীরের ডান কাদের অংশে ফুলা জখম দেখতে পেয়ে তুবার মা তার কন্যাকে জিজ্ঞাসা করে কি ভাবে হলো।পরের দিন ২২শে মে সোমবার তবে তার পরিবার বিষয়টি অন্য শিক্ষার্থী কর্তৃক মারধরের ঘটনাটি শুনে ও জানে।

এবং গত ২৭ শে মে আহত ছাত্রী জিনাত সুলতানা (তুবা) কে নওগাঁ ইসলামি ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতাল নওগাঁতে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত ছাত্রী তুবার পরিবার আরও জানায়,

উক্ত ছাত্রীকে ডাস্টার দ্বারা এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। চিকিৎসায় এক্সে রিপোর্টে তার শরীরের ডান হাতের কাঁধের অংশে হাড় ফেটে যাওয়ার চিহ্ন রয়েছে।

স্থানীয়রা বলেন, মুক্তা খানমের পরিবারের সাথে জালাল হোসেনের পারিবারিক শক্রুতার জের ধরেই জালালের মেয়ে তুবাকে মারধর করেছে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফৌরদোসী আক্তার জানান, আমি ঘটনা দেখিনি তবে শুনেছি অন্য শিক্ষার্থীর কাছে। ছাত্রীকে মারধরের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত  সহকারী শিক্ষিকা মুক্তা খানম বলেন, তার ভুল হয়ে গেছে। তিনি এ ঘটনায় অনুতপ্ত।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও বদলগাছী সরকারি মডেল পাইলট হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক মাওলানা মোঃ আব্দুস সাত্তার জানান, বদলগাছীর সাংবাদিকদের মাথা হাফিজার রহমানের সাথে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে আর আমি অন্য কার সাথে কথা বলতে চায় না। তবে এই শিক্ষিকা অসুস্থ সুতরাং এটি মানবিক দৃষ্টি কোণ থেকে দেখা হোক।

এ ব‍্যপারে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে।

বদলগাছী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলাম বলেন,এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয় নি। আমি জানিনি। দেখি আমি জানি।এ বিষয়ে এখনি কথা বার্তা বলছি।

এ ব‍্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত)মির্জা ইমাম উদ্দিন বলেন, আমি বিষয়টা জানি না। আমি শিক্ষা অফিসারকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জেনে নিয়ে পদক্ষেপ নিবো।

মন্তব্য করুন।

আপনার মেইল প্রকাশিত হবে না।