বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে গণহত্যা দিবস পালিত

0 351

স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে (বামুকট্রা) আজ (২৫ মার্চ) গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহিদদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশেষ দোয়া-প্রার্থনা এবং রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’।

দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধের সব শহিদ, বিশেষ করে ২৫ মার্চ কালরাতে যারা হানাদার বাহিনীর হাতে শহিদ হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা শুরু হয়।

সভায় বক্তব্য দেন- ট্রাস্টের সচিব (উপসচিব) তরফদার মো. আক্তার জামীল, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী, বীরপ্রতীক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুছ চৌধুরী, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহার রেজা চৌধুরী, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মাজেদ, খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম আজাদ, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল লতিফ, ট্রাস্টের উপমহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. সিরাজুল ইসলাম, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নাঈমুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ট্রাস্টের উপমহাব্যবস্থাপক (কল্যাণ) আবুল কালাম আজাদ।

সভায় আলোচকরা ২৫ মার্চ এবং ৯ মাসব্যাপী স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত গণহত্যার পটভূমি ও তাৎপর্যের ওপর আলোকপাত করেন। তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বিশ্ব ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়। বাঙালি জাতিকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করার অভিপ্রায়ে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনী সেদিন যে পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়েছিল তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। এ দিবস পালনের মাধ্যমে একটি সভ্য সমাজের অংশ হিসেবে তারা সারা বিশ্বে এই বার্তাই ছড়িয়ে দিতে চান যে, ভবিষ্যতে পৃথিবীর আর কোথায়ও যেন এরকম গণহত্যার পুনরাবৃত্তি না হয়।

আলোচনা শেষে জাতির পিতা ও তার পরিবারের শহিদ সদস্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী সব শহিদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে স্বাধীনতাকামী নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর নির্মম গণহত্যা চালায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এ গণহত্যার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৭ সাল থেকে দিনটি জাতীয়ভাবে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

মন্তব্য করুন।

আপনার মেইল প্রকাশিত হবে না।